শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা ৩১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা। বুধবারও তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এবং জানিয়েছেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
গতকাল মঙ্গলবার ২১ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষকরা জানান, অনুদানবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আজই শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর শিক্ষকরা ঘোষণা দেন—১০ নভেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন। সেই অনুযায়ী সোমবার তারা অর্ধ দিবস অনশন পালন করেন।
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিক্ষকরা। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ১,০৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফাইলে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরও করেছেন বলে জানা গেছে।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে ফিরবেন না।
শিক্ষক সমাজ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এ দাবির বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষকদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।
উপসংহার
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তির দাবি শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়—এটি বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই অবস্থান কর্মসূচি তাদের দৃঢ় প্রত্যয় এবং পেশার প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন।
