প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা পাঁচটি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা করেন। তবে সচিবালয়ের প্রবেশপথে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় তাদের পদযাত্রা আটকা পড়ে। বর্তমানে শিক্ষকরা ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
শিক্ষকদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে পৌঁছেছেন। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২:৩০টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করা হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন: মো. ইলিয়াস রাজ, গাউসুল আজম শীমু, মোছা. রিমা খাতুন, এম. এ. সালাম, মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন, জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ, শিরিনা আক্তার ও সুরুজ্জামান।
শিক্ষকরা জানান, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। ২,৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১,৭৭২টি প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত করা হয়। বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করা হলেও প্রক্রিয়াটি ধীরগতিতে চলছে। ইতিপূর্বে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ৫৭টি বিদ্যালয় এবং অনলাইনে আবেদন করা ১,৭৭২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বারবার আন্দোলন চালিয়েও কর্তৃপক্ষ মৌখিক আশ্বাস দেওয়ায় সীমাবদ্ধ রয়েছে।
শিক্ষকরা দাবি করেন, মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষকরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করছেন, কিন্তু সরকার তাদের দাবির প্রতি উদাসীন। তাই অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উপসংহার
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদযাত্রা এবং আন্দোলন সরকারের কাছে তাদের ন্যায্য দাবির গুরুত্ব তুলে ধরছে। দীর্ঘ সময় ধরে অনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির কারণে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সময় এসেছে, কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার সুযোগ ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার।
