জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকভারুনিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর ও সভাপতি আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং মাদরাসার সম্পত্তি থেকে আয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার মাদরাসার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য এরশাদ হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে সম্প্রতি মাদরাসায় ভাইস প্রিন্সিপাল ও অফিস সহকারী পদে দুজনকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। গত ২৪ অক্টোবর গোপনে নিয়োগ বোর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ২৬ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো ফল হয়নি। অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ অক্টোবরের পর কোনো মাদরাসা কমিটি নিয়োগ বোর্ড করতে পারবে না। কিন্তু ২৪ অক্টোবর গোপনে নিয়োগ বোর্ড হয়েছে। তারা অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আতাউল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার দান বাক্স এবং সম্পত্তির লিজের টাকা অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে আত্মসাৎ করছেন। বার্ষিক মাহফিলের আয়-ব্যয় হিসাব নিয়েও স্বেচ্ছাচারিতা চলছে, যা মাদরাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। তারা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগসহ সব কার্যক্রম সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। মাদরাসার উন্নয়নে বাধা দেয়ার জন্যই এটি অপপ্রচার।
প্রেস কলে সভাপতি আব্দুল মতিন সাড়া দেননি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং শিগগিরই তদন্ত করা হবে। সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপসংহার
চকভারুনিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর ও সভাপতি আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয়রা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি তদন্ত করবেন এবং সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনা মাদরাসার সুনাম রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
