স্মারকলিপিতে ছাত্রদল বিশেষভাবে ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরেছে, যা ভোটার তালিকা প্রকাশ, ব্যালট ব্যবস্থাপনা, নির্বাচনী আচরণবিধি এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্দেশমূলক। এর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহারের কথা, ভোটার তালিকায় ছবিসহ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, নির্বাচনী প্রচারণার নিয়ম স্পষ্ট করা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে নির্বাচনের সঠিক সময় নির্ধারণের সুপারিশ।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা কেনো রাখা হয়েছে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ছাত্রদল আশা করছে, এই প্রস্তাবনার আলোকে নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করবেন, যাতে সমস্ত শিক্ষার্থী তাদের নির্বাচনী অধিকার সমানভাবে উপভোগ করতে পারে এবং কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে না পারে।
উপসংহার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এমফিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা একটি বিতর্কিত বিষয় হিসেবে浮 উঠে এসেছে। ছাত্রদলের স্মারকলিপি ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে স্বচ্ছতা ও স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, যা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। সকল শিক্ষার্থীর সমান অধিকার রক্ষা করা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাখা অবশ্যক। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং সমস্ত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
