কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা মহিউস্সুন্নাহ দাখিল মাদরাসায় রবিবার (২৬ অক্টোবর) নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে মারধর ও নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে অভিভাবকরা পুলিশে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুক মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। রোববার তাঁকে অফিসে ডেকে ক্লাসে আসার অনুরোধ করলে শিক্ষক বেত দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বেত ভেঙে গেলে তিনি হাত দিয়ে কয়েকজন ছাত্রীকে আঘাত করেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।
ছাত্রীরা বিষয়টি মাদরাসার সুপারকে জানালে শিক্ষক তাদের অফিস থেকে বের করে দেন। পরে তারা অভিভাবকদের জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে এক নারী অভিভাবককে তিনি লাথি মারেন। জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে আটক করে পিটুনি দেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মাদরাসার সুপার মাওলানা নেজাম উদ্দিনও বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং বিষয়টি অতিরঞ্জিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
মহেশখালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষককে হেফাজতে নিয়ে থানায় আনে। ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর দ্রুত জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। বেল বাটন ক্লিক করলে নতুন ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
ঘটনা কোথায় এবং কখন ঘটেছে?
এই ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা মহিউস্সুন্নাহ দাখিল মাদরাসায়, ২৬ অক্টোবর, রবিবার।
ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক কে?
অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা শিক্ষক হলেন ওমর ফারুক, যিনি মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কী ছিল?
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, শিক্ষক ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না এবং রবিবার ক্লাসে আসার পর বেত দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী বলেছেন, শিক্ষক তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন।
শিক্ষক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য কী?
শিক্ষক ওমর ফারুক এবং মাদরাসার সুপার মাওলানা নেজাম উদ্দিন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, বিষয়টি অতিরঞ্জিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
ঘটনায় অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থলে যান। শিক্ষক ওমর ফারুক একজন নারী অভিভাবককে লাথি মারলে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে আটক করে পিটুনি দেয়।
পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
মহেশখালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষককে হেফাজতে নিয়ে থানায় আনে। ওসি মঞ্জুরুল হক বলেছেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা কি থানায় অভিযোগ করেছে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।
উপসংহার
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাদরাসা ঘটনার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা রক্ষা ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের তৎপরতা এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জানানোর সাহস এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার পথে সহায়ক হতে পারে। যদিও শিক্ষক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করছেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ বিষয়টি নজরদারি করছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং, নিরাপদ অভিযোগ ব্যবস্থা এবং অভিভাবক-প্রশাসন সহযোগিতা অপরিহার্য।
