সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আয়োজিত পরীক্ষায় একজন প্রার্থীকে এমসিকিউতে অন্তত ৮০ নম্বর অর্জন করতে হবে। কেবল তখনই তিনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নিবন্ধন পরীক্ষার কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মাদরাসার ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) নির্ধারণ করা হয়েছে। উভয় অংশ মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে একজন প্রার্থীকে অন্তত ৮০ পেতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা তত্ত্ব ও শিক্ষামান অনুবিভাগের সদস্য (যুগ্মসচিব) এরাদুল হক এবং আলোচনায় অংশ নেন পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন অনুবিভাগের সদস্য (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ’s)
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নতুন পাস নম্বর কত?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হতে হলে এমসিকিউতে অন্তত ৮০ নম্বর পেতে হবে।
আগে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার পাস নম্বর কত ছিল?
আগে পাস নম্বর কম ছিল, তবে এখন তা বাড়িয়ে ৮০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা কে আয়োজন করে?
এ পরীক্ষা আয়োজন করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
মাদরাসা প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার কাঠামো কীভাবে নির্ধারণ হয়েছে?
মাদরাসা প্রার্থীদের জন্য ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ ও ৬০ নম্বর জেনারেল বিষয় রাখা হয়েছে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮০ নম্বর না পেলে কী হবে?
৮০ এর কম নম্বর পেলে প্রার্থীকে অকৃতকার্য ধরা হবে এবং তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মোট নম্বর কত?
পরীক্ষার কাঠামোর ওপর নির্ভর করে মোট নম্বর নির্ধারণ হয়, তবে প্রিলিমিনারিতে অন্তত ৮০ পাস নম্বর বাধ্যতামূলক।
সাধারণ শিক্ষার প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ধাপ কেমন হবে?
সাধারণ প্রার্থীদের জন্যও এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক ধাপ থাকবে, যেখানে এমসিকিউতে ৮০ নম্বর পেতে হবে।
উপসংহার
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস নম্বর ৮০ নির্ধারণ শিক্ষা খাতে একটি বড় পরিবর্তন। এর মাধ্যমে প্রার্থীদের মানোন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং যোগ্য শিক্ষক নির্বাচনে স্বচ্ছতা আসবে। নতুন নিয়মটি কিছুটা কঠিন মনে হলেও এটি ভবিষ্যতে শিক্ষকতার পেশায় দক্ষ ও মেধাবী প্রার্থীদের প্রবেশে সহায়তা করবে। তাই সফল হতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
