শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে কক্সবাজারের দুই মাদরাসা প্রধানের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান মজুমদারের স্বাক্ষরে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থগিত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন—মহেশখালী উপজেলার পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং শাহ মজিদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে সচিবের সভাপতিত্বে মাদরাসা প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও এই দুই শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন।
তাদের এই অনুপস্থিতিকে দায়িত্ব অবহেলা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ কারণে এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেন এমপিও স্থায়ীভাবে স্থগিত বা বাতিল করা হবে না, তা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানায়, এহেন কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
কেন দুই মাদরাসা প্রধানের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে?
সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কোন তারিখে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে?
২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এমপিও স্থগিতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
এই দুই মাদরাসা প্রধান কারা?
মহেশখালী উপজেলার পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং শাহ মজিদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান।
সভাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব কে করেছিলেন?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব সভার সভাপতিত্ব করেন।
এমপিও স্থগিতের কারণ কী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে?
তাদের অনুপস্থিতিকে দায়িত্ব অবহেলা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
তাদের কি কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছে?
হ্যাঁ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে।
উপসংহার
সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অনুপস্থিত থাকার ঘটনাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। এ কারণে দুই মাদরাসা প্রধানের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দেয় যে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য ও দায়িত্ব অবহেলার মতো আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নীতিমালা মেনে সময়মতো ব্যাখ্যা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে এমপিও স্থায়ীভাবে স্থগিত বা বাতিল হতে পারে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা—দায়িত্বশীলভাবে কর্তব্য পালনই শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষার মূল চাবিকাঠি।