চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১২ অক্টোবরের পরিবর্তে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন ভিপি ও একজন জিএস প্রার্থী রয়েছেন। তবে কমিশন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আপত্তি নিষ্পত্তির পর প্রার্থিতা আরও বাতিল হতে পারে। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরাও পুনরায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্র ও হল সংসদে অংশ নিতে ১ হাজার ১৬২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে ৯৩১ জন জমা দিয়েছেন। ভিপি পদে ২৫টি, জিএস ও এজিএস পদে ২২টি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ নভেম্বর। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৩৭ জন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
চাকসু নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল?
আগে নির্ধারিত তারিখ ছিল ১২ অক্টোবর।
চাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ কী নির্ধারণ করা হয়েছে?
নতুন তারিখ ১৫ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়েছে।
কে চাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন চাকসু নির্বাচন স্থগিত করা হলো?
প্রশাসনিক কারণে নির্বাচন ১২ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়েছে।
প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা কবে প্রকাশিত হয়েছে?
২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
কতজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে?
প্রাথমিকভাবে ১৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
কোন কোন পদে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে?
বাতিলদের মধ্যে দুইজন ভিপি ও একজন জিএস প্রার্থী রয়েছেন।
এবার চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা কত?
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৩৭ জন।
উপসংহার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে প্রশাসনিক কারণে পূর্ব নির্ধারিত ১২ অক্টোবর থেকে নির্বাচন পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের অপেক্ষা চলছে। নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ২৭ হাজার ৬৩৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ছাত্ররাজনীতির নতুন অধ্যায় সূচনা করতে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।