১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটি প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সব স্কুল-কলেজ ও ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানে ৭ মার্চ দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) সহকারী পরিচালক রূপক রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিবসটিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষণ প্রচার এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম আয়োজন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা ও ছড়া পাঠের আয়োজন করা হবে। এছাড়া, সকালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিবসের তাৎপর্য অনুযায়ী নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি (FAQ’s)
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস কবে পালিত হয়?
প্রতিবছর ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিন হিসেবে পালিত হয়।
কোন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭ মার্চ দিবস উদযাপন বাধ্যতামূলক?
সব স্কুল, কলেজ ও ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।
উদযাপন কর্মসূচিতে কী কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে?
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষণ প্রচার, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, কবিতা ও ছড়া পাঠ প্রতিযোগিতা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কখন করতে হবে?
৭ মার্চ সকালে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের প্রতিযোগিতা থাকবে?
ভাষণ প্রতিযোগিতা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, কবিতা ও ছড়া পাঠ।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতেও কি একই নিয়ম প্রযোজ্য?
হ্যাঁ, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ সব প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা বাধ্যতামূলক।
প্রতিষ্ঠানগুলো কি নিজস্ব কর্মসূচি নিতে পারবে?
হ্যাঁ, দিবসের তাৎপর্য অনুযায়ী নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।
উপসংহার
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ কেবল একটি দিন নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ শুধু মুক্তিকামী জনগণকেই নয়, বরং পুরো জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিল। তাই স্কুল-কলেজ ও ইংলিশ মিডিয়ামসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা শিক্ষার্থীদের ইতিহাসচেতনা জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে।