রায়েরবাজারে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তারা শহীদদের গণকবরের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় নেতারা জানান, ৭১ ও ২৪’র শহীদদের আদর্শ ধারণ করে বৈষম্যহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে কাজ করবেন। একই সঙ্গে জুলাই শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “নির্বাচনে অংশ নেওয়া সকলের ইশতেহার বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবো।”
অপরদিকে জিএস এস এম ফারহাদ বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগকে কাজে রূপ দিয়ে পূর্ণ করার চেষ্টা করবো।” এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় মিডিয়া হিজাব ইস্যুতে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
রায়েরবাজারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রায়েরবাজার গণকবর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক বেদনাবিধুর সাক্ষী, যেখানে অসংখ্য শহীদকে কবর দেওয়া হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদন তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করায়।
ডাকসু নেতারা কোন উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান?
ডাকসু নির্বাচনের পর তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার অংশ হিসেবে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৭১’র শহীদদের প্রতি ডাকসু নেতাদের অঙ্গীকার কী ছিল?
তারা বৈষম্যহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন এবং শহীদদের আদর্শ ধারণ করার কথা বলেন।
মোনাজাতের মাধ্যমে ডাকসু নেতারা কী প্রকাশ করেন?
তারা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ভিপি সাদিক কায়েম শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কী বক্তব্য দেন?
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া সকলের ইশতেহার বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন।
জিএস এস এম ফারহাদ কী প্রতিশ্রুতি দেন?
তিনি বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগকে কাজে রূপ দিয়ে পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন।
কেন ২৪’র শহীদদের কথাও উল্লেখ করা হয়?
৭১’র শহীদদের পাশাপাশি জুলাই শহীদরাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাই তাদের আকাঙ্ক্ষাও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা।
সারসংক্ষেপ
মুক্তিযুদ্ধ ৭১’র শহীদদের প্রতি ডাকসু নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। শহীদদের আদর্শ ও ত্যাগের আলোকে বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করবে। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং জাতীয় ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখবে।