মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বুধবার এক চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি, শারীরিক শিক্ষা (পিটি) ও ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজনের জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রক্ষা করার লক্ষ্যে অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা অপরিহার্য।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি ও পিটির আয়োজন করা।
- বছরের বিভিন্ন সময় সময়োপযোগী ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজন করা।
- যেসব প্রতিষ্ঠানে ক্যান্টিন বা অন্য কোনো মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়, সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা রাখা।
শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ খবরের জন্য দৈনিক আমাদের বার্তার YouTube চ্যানেল এর সঙ্গে থাকুন। ভিডিও মিস করতে না চাইলে এখনই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। এতে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ (FAQ’s)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য কী?
নির্দেশনার মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ সুরক্ষা করা।
কোন কার্যক্রমগুলি নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে হবে?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি, পিটি (শারীরিক শিক্ষা) এবং ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য কী নির্দেশনা আছে?
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তিনটি মূল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে: অ্যাসেম্বলি ও পিটি আয়োজন, ক্রীড়া কার্যক্রমের পরিকল্পনা, এবং ক্যান্টিন বা খাবারের মান নিশ্চিত করা।
ক্রীড়া কার্যক্রম কতবার আয়োজন করতে হবে?
প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরব্যাপী পর্যায়ক্রমে সময়োপযোগী ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজন করতে হবে।
ক্যান্টিন বা খাবার সরবরাহে কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
যেখানে ক্যান্টিন বা খাবার সরবরাহ করা হয়, সেখানে খাবারের স্বাস্থ্যসম্মততা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
অ্যাসেম্বলি কখন অনুষ্ঠিত হবে?
শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি আয়োজন করতে হবে।
পিটি কার্যক্রমের উদ্দেশ্য কী?
পিটি বা শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সুস্থ্য ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উপসংহার
নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রক্ষা নিশ্চিত করা হবে। নিয়মিত অ্যাসেম্বলি, পিটি এবং ক্রীড়া কার্যক্রমের আয়োজন শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। পাশাপাশি, ক্যান্টিন বা খাবার সরবরাহের মান নিয়ন্ত্রণে রাখা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে একটি সুস্থ, সুশৃঙ্খল এবং নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
