বেসরকারি স্কুল ও কলেজে প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর অধীনে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সমতাকরণ করা হয়েছে। নতুন পরিপত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
- জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ পরিবর্তন: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে, তবে বেতন গ্রেড অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
- পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি: সিনিয়র শিক্ষক থেকে মাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
- আইসিটি শিক্ষকের উন্নয়ন: মাধ্যমিক স্তরের আইসিটি শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
- গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়: সহকারী শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়নি, যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
পরিপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য দুই বছরের অভিজ্ঞতা সহ ১৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য দুই-তিন বছরের অভিজ্ঞতা সহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত হয়। যদিও চলতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই একই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সিনিয়র শিক্ষক থেকে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হোক। নতুন পরিপত্রে, তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৭ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে সিনিয়র শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবেন। ফলে শিক্ষকদের দাবি বেশাংশ পূরণ হচ্ছে।
তবে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয় থেকে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও বৈষম্যের অভিযোগ জন্মেছে। তারা দাবি করছেন, সমান যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য বিষয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১০ বছরের চাকরি পূর্তিতে পদোন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন, কিন্তু গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষকদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পুরাতন নীতিমালার পরিপূরক হিসেবে কার্যকর করা হবে।
শিক্ষা ও অন্যান্য খবর সবার আগে জানতে, দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। এতে নতুন ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন সরাসরি আপনার ডিভাইসে পৌঁছে যাবে।
উপসংহার
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা সমতাকরণ নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছে। সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি, আইসিটি শিক্ষকদের গ্রেড উন্নয়ন এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অভিজ্ঞতার স্পষ্ট মানদণ্ড শিক্ষকদের জন্য আরও স্বচ্ছ ও পরিকল্পিত নিয়োগ নিশ্চিত করছে। তবে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয় থেকে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় কিছু অসন্তোষও তৈরি হয়েছে। পরিপত্রটি শিক্ষা খাতে পেশাগত সুযোগ ও পদোন্নতির মানদণ্ড আরও স্পষ্ট করতে সহায়তা করছে।
