বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমে অনিয়ম ধরা পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ভুল তথ্য দিয়ে ৪০১টি শূন্যপদ দেখায়। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এনটিআরসিএর পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভুল ই-রিকুজিশন (শূন্যপদের চাহিদা) জমা দেয়। যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং আবেদন গ্রহণ শেষ হয়। পরে মাউশি থেকে ২৪৫ প্রতিষ্ঠানের ৪০১টি শূন্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি পাঠানো হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তা জানানো হয়নি। ফলে আবেদনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতি এড়াতে ভবিষ্যতে শূন্যপদ যাচাইয়ের প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভুল তথ্য দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
কেন ২৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
কারণ তারা ভুল তথ্য দিয়ে মোট ৪০১টি শূন্যপদের চাহিদা এনটিআরসিএ-তে জমা দিয়েছে।
কোন কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে?
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
কতটি শূন্যপদ নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে?
মোট ৪০১টি শূন্যপদ নিয়ে অনিয়ম পাওয়া গেছে।
এই ভুল তথ্য জমা দেওয়ার ফলে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে?
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা, বিশৃঙ্খলা এবং প্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনায় কোন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে কি শূন্যপদ বাতিলের তথ্য জানানো হয়েছিল?
না, মাউশি শূন্যপদ বাতিলের চিঠি পাঠালেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তা জানানো হয়নি।
কোন পর্যায়ের নিয়োগ কার্যক্রমে এই অনিয়ম ধরা পড়ে?
এনটিআরসিএর ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমে এই অনিয়ম ধরা পড়ে।
উপসংহার
২৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ভুল তথ্য প্রদান ও শূন্যপদে অনিয়ম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যার ফলে প্রার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এনটিআরসিএর এই পদক্ষেপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সতর্ক করবে এবং জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা মেনে চলতে বাধ্য করবে। সঠিক তথ্য যাচাই ও সময়মতো প্রতিবেদন প্রেরণ নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।
