বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে সহপাঠীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া এবং নারীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মামলায় এ আদেশ দেন আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীশান্ত রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিট ব্যবহার করে নারীদের এবং মুসলিম নারীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। তার করা মন্তব্যের স্ক্রিনশটগুলো যাচাই করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এর আগে, এক শিক্ষার্থীর ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। কয়েকশ শিক্ষার্থী রাত ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করলে প্রশাসন রাতেই শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করে। ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ শিক্ষার্থীদের সামনে এ ঘোষণা দেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আহসান উল্লাহ হলে থাকা শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক মুসলিম ছাত্রীকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধর্ষণ করার এবং পরে সেই বিষয় নিয়ে রেডিটে গর্ব প্রকাশের চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বোরকা, হিজাব এবং নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও তার বিরুদ্ধে আসে।
শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। বুয়েট প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
শ্রীশান্ত রায় কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন?
শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া এবং নারীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলা কোন আইনের আওতায় দায়ের করা হয়েছে?
মামলাটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে।
শ্রীশান্ত রায় বর্তমানে কোথায় রয়েছে?
আদালতের আদেশে শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের তদন্ত কী পর্যায়ে আছে?
শ্রীশান্ত রায়ের করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ক্রিনশট যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীশান্ত মন্তব্য করতেন?
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীশান্ত রায় মূলত রেডিট (Reddit) ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন।
বুয়েটে শিক্ষার্থীরা কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে?
শ্রীশান্তের মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েকশ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছে এবং তার সাময়িক বহিষ্কার দাবী করেছেন।
প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
বুয়েট প্রশাসন রাতেই শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।
উপসংহার
বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ হুমকি ও নারীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ প্রমাণ করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসদাচরণ দ্রুত পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে। প্রশাসন এবং পুলিশ সক্রিয়ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, আর শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ দেখায় যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ।
