ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে যান চলাচল পুনঃনিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং অফিস চলাকালীন দিনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবেশপথগুলোতে কেবল ঢাবি স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিক, রাইড শেয়ার, খাবার ও অনলাইন ডেলিভারি বাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
এছাড়া, গণপরিবহন ও ভারী যানবাহন সবসময়ই নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকারে কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা কখন থেকে কার্যকর হবে?
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে ২২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে এবং তা চলমান থাকবে।
প্রবেশপথগুলো কোন জায়গাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে?
প্রবেশপথগুলোর মধ্যে রয়েছে: শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড়, নীলক্ষেত।
কি কারণে গণপরিবহন ও ভারী যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ সবসময় থাকবে?
এই যানবাহনগুলো ক্যাম্পাসের সুরক্ষা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য সবসময় নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কি?
হ্যাঁ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
এই নিয়ম ভাঙলে কি হতে পারে?
নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
উপসংহার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রবেশাধিকার সীমিত রাখা হলে, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে এবং জরুরি সেবা সহজভাবে পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদের ও ভিজিটরদের এই নিয়ম মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সবাই নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খলভাবে ক্যাম্পাস ব্যবহার করতে পারে।
