জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, জকসু নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কোন দল, গোষ্ঠী বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার চাপ বা নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, “আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো।”
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য আরও বলেন, জকসুতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনের আনন্দ উপভোগ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিবেশ বজায় থাকলে প্রত্যেক জানুয়ারিতে নিয়মিতভাবে জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন নজির স্থাপন করবে। আমরা চাই প্রতিবছরই নির্বাচন হোক, যদিও এটি কিছুটা কঠিন।”
জকসুর তহবিল ও খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট বাজেট নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে এবং ভর্তি পরীক্ষা ফান্ড থেকে খরচের ব্যবস্থা করা হবে। বাকি প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ফিন্যান্সিয়াল কমিটির প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের বিষয়ে উপাচার্য জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সুবিধার জন্য ছাত্রনেতারা নির্দিষ্ট সময় চেয়েছিল। তবে, নির্বাচনের সমস্ত কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বুধবার তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি হলো:
- ভোটার তালিকা আপত্তি ও নিষ্পত্তি: ৯ ও ১১ নভেম্বর
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ১২ নভেম্বর
- মনোনয়ন বিতরণ: ১৩–১৭ নভেম্বর
- মনোনয়ন দাখিল: ১৭–১৮ নভেম্বর
- প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর
- প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি: ২৪–২৬ নভেম্বর
- ডোপ টেস্ট: ২৭ ও ৩০ নভেম্বর
- চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর
- মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার: ৪, ৭, ৮ ডিসেম্বর
- প্রত্যাখ্যানকৃত প্রার্থী তালিকা: ৯ ডিসেম্বর
- প্রচারকাল: ৯–১৯ ডিসেম্বর
- ভোট গ্রহণ: ২২ ডিসেম্বর
- ফলাফল ঘোষণা: ২২–২৩ ডিসেম্বর
উপাচার্য মনে করান, এই সময়সূচি নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে এবং এটি সবচেয়ে উপযুক্ত তফসিল।
উপসংহার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করবে। উপাচার্যের প্রতিশ্রুতি এবং নির্বাচন কমিশনের সুসংগঠিত তফসিল নিশ্চিত করছে যে ভোট প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে। নিয়মিতভাবে প্রতিবছর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন একটি শিক্ষাগত নজির স্থাপন করবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হবে একটি সাফল্যমণ্ডিত ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
