চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান যেমন বাড়বে, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে সম্পন্ন হচ্ছে। নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো ধরনের বাধা বা হিংসার ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা নিয়মকানুন মেনে সুষ্ঠু প্রচারণা চালিয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরাই তৈরি করেছে এবং চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভোটগ্রহণে আধাঘণ্টার বিলম্বের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, সকাল নয়টায় ভোটগ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। শিক্ষার্থীরা সকাল আটটায় থেকেই ভোট লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোটারদের সিরিয়াল যাচাই-বাছাই করার কারণে ভোট শুরু হয় সাড়ে নয়টায়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, এবং ছবি সংযুক্ত ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার ভোট সম্পর্কিত কী বক্তব্য দিয়েছেন?
তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে এবং শিক্ষার্থীরাও সম্মানিত হবেন।
নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের কি কোনো ভূমিকা আছে?
শিক্ষার্থীরাই নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে এবং নিয়মকানুন মেনে প্রচারণা পরিচালনা করে।
ভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন করা হয়েছে?
চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণে কোনো বিলম্ব হয়েছে কেন?
ভোটার যাচাই-বাছাই ও একাধিক ভোটর নিশ্চিতকরণের কারণে ভোটগ্রহণ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল।
ভোটারদের সুবিধার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
ছবি-সংযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ভোটের সময় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
না, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিয়ম মেনে প্রচারণা চালিয়েছে।
উপসংহার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ শিক্ষার্থীদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান উভয়ই বাড়ায়। উপাচার্য মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মকানুন মেনে ভোট পরিচালনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। নিরাপত্তা ও ভোটের প্রস্তুতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেছে। শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা উভয়ই সুদৃঢ় করা।
