শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রকৃত নম্বর প্রদান নীতি আগের মতোই বহাল থাকবে। তিনি বলেন, যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই নম্বর বাড়ানোর পুরোনো সংস্কৃতি আর কখনোই ফিরবে না।
শনিবার ফরিদপুর অঞ্চলের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা-অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক শিক্ষক এতে অংশ নেন।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক বি.এম. আব্দুল হান্নান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা। মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় বিশিষ্টজনরা।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, অতীতে শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে গুরুতর সংকট তৈরি হয়েছে। ডায়ালিসিস, ক্যান্সারসহ গুরুতর রোগে আক্রান্ত শিক্ষকরা বছরের পর বছর প্রাপ্য অর্থ না পাওয়াকে তিনি অমানবিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বকেয়া অর্থ দ্রুত আদায়ের জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ, হিসাবপত্র হালনাগাদ এবং সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির কাজ চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অতি শিগগিরই বকেয়া নিষ্পত্তি শুরু হবে।
এ ছাড়া তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। যারা রাজনীতি করতে চান, তারা রাজনীতিতেই যুক্ত থাকবেন; তবে শ্রেণিকক্ষের নিরপেক্ষতা অবশ্যই অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। শিক্ষা ও রাজনীতির অপ্রয়োজনীয় মিশ্রণ অনেক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শিক্ষাসহ সব খবর আগে পেতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকুন। নতুন ভিডিও প্রকাশ হলে সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন পেতে এখনই সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনে ক্লিক করুন।
উপসংহার
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রকৃত নম্বর প্রদানের নীতি বহাল রাখার ঘোষণা শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়সংগত মূল্যায়নের প্রতি সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারকে আরও স্পষ্ট করে। শিক্ষক কল্যাণ তহবিলের সংকট সমাধান, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা দূরীকরণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি শিক্ষা খাতের সামগ্রিক উন্নয়নের পথকে আরও শক্তিশালী করবে। সব মিলিয়ে, উপদেষ্টার বক্তব্যে ভবিষ্যতের একটি মানসম্মত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা ফুটে ওঠে।
