বুধবার সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করার সময় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের ওপর পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। পদযাত্রা জাতীয়করণের দাবিতে করা হয়েছিল।
জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় পুলিশের বাধার কারণে দুইজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষকরা গত সোমবারও “লং মার্চ টু মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর” কর্মসূচি পালন করেছিলেন এবং গত বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষক প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব দেশের বাইরে থাকায় ফাইল তার কাছে আসেনি। সচিব দেশে ফেরার পর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “প্রাইমারি জাতীয়করণ চাই”, “আমরা কেন বিনা বেতনে কাজ করি”, “দান নয়, সাংবিধানিক অধিকার চাই”।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানানো হলেও কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করা শিক্ষকরা অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকা সত্ত্বেও সরকারি অবহেলায় তারা বারবার বঞ্চিত হচ্ছেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, এবারও জাতীয়করণের ঘোষণা না এলে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি অনশন শুরু করবেন।
উপসংহার
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পদযাত্রা ও আন্দোলন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অবহেলা এবং জাতীয়করণের অনিশ্চয়তার প্রতিফলন। পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ হলেও শিক্ষকরা তাদের দাবি মানিয়ে নিতে দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে কাজ করা এই শিক্ষকদের জন্য সরকারি স্বীকৃতি নিশ্চিত করা শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাথমিক ইসলামী শিক্ষার সম্প্রসারণেও গুরুত্বপূর্ণ। এখন সময় এসেছে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার, যাতে শিক্ষকেরা নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষাদানের সুযোগ পান।
