এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর মাসের এমপিওর টাকা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিল সাবমিট করতে বলা হয়েছে। এ জন্য ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে বিল জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
ভুল তথ্যের কারণে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর এমপিও অর্থ ইএফটিতে পাঠানো না হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের উপর বর্তাবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ জানুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা সরাসরি ব্যাংক হিসাব নম্বরে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। জুলাই পর্যন্ত এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হলেও আগস্ট মাস থেকে অনলাইনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিল সাবমিট করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমের এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগইন করে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বিল জমা দেবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মচারীর প্রাপ্য অর্থ সঠিকভাবে যাচাই করে দাখিল করতে হবে। জমাকৃত তথ্য অনুসারে এমপিওর অর্থ ইএফটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ’s)
ইএফটি (EFT) কী?
ইএফটি বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বেতন সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কবে থেকে ইএফটির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে?
১ জানুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ কত?
২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিল জমা দিতে হবে।
বিল জমা দেওয়ার দায়িত্ব কার?
প্রতিষ্ঠান প্রধান আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমে লগইন করে বিল সাবমিট করেন।
ভুল তথ্য দিলে কী হবে?
ভুল তথ্যের কারণে যদি কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন পাঠানো না হয়, তার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের উপর বর্তাবে।
অনলাইনে বিল জমা দেওয়ার নিয়ম কখন চালু হয়েছে?
আগস্ট মাস থেকে এমপিও বিল অনলাইনে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক জমা দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে।
জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন কীভাবে দেওয়া হতো?
জুলাই পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সরাসরি ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছিল।
উপসংহার
ইএফটিতে বেতন প্রক্রিয়ার নতুন নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দ্রুত, নিরাপদ এবং স্বচ্ছভাবে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সঠিক তথ্যসহ বিল জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল তথ্যের কারণে বেতন না পৌঁছালে তার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রধানের উপর থাকবে।
